তবে কি সত্যিই মারা গেছেন ওবায়দুল কাদের?

স্বৈরাচার হাসিনার অন্যতম কাছের মানুষ তার নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুরে মারা গেছেন, এমন দাবিতে সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে একটি পোষ্টার ছড়িয়ে পড়েছে। যা শেয়ার করে সামাজিক মাধ্যম শোকগাথায় রূপ দিয়েছেন ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসররা। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৩ মে কাদেরের মরদেহ বাংলাদেশে আনা হবে এবং তার প্রথম জানাজা নোয়াখালীতে অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়াও পোস্টারে তার মরদেহের ছবি হিসেবে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা একটি ছবিও ব্যবহার করা হয়েছে। পোষ্টারটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর চারিদিকে প্রশ্ন উঠেছে তবে কি সত্যিই মারা গেছেন ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর সরাসরি গুলি চালানোর নির্দেশদাতা কাউয়া কাদের খ্যাত ওবায়দুল কাদের?

বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করেছে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট চেকিং নেটওয়ার্ক রিউমর স্ক্যানার। তাদের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ওবায়দুল কাদেরের মারা যাওয়ার দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, ২০১৯ সালে হার্টের ব্লক নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে সে সময়ে কাদেরকে আইসিইউর ভেন্টিলেশন সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেই মুহূর্তে ধারণ করা ছবিকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। সুতরাং, ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুরের কিংস হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।

এদিকে এবারই প্রথম নয় এর আগেও একাধিকবার ওবায়দুল কাদের মারা যাওয়ার গুজব ছড়ানো হয়েছিলো। এভাবে বারবার কাউয়া কাদের খ্যাত ওবায়দুল কাদেরের মৃত্যুর গুজব ছড়ানো আওয়ামী লীগের নতুন কোন ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করছেন নেটিজেনরা।

এই সেই ওবায়দুল কাদের যে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগকে মিডিয়ার সামনে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে লেলিয়ে দিয়েছিলো ছাত্র জনতার ওপর নীপিড়ন চালাতে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা গত বছরের ৫ আগষ্ট দেশছেড়ে চোরের মত লেজ গুটিয়ে ভারতে পালানোর পর যশোর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান ওবায়দুল কাদেরও।

বর্তমানে কলকাতায় পরিবারসহ বসবাস করছেন কাদের, এমনটিই জানা যায় বিভিন্ন সূত্রে। সেখানে বসেই আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে নিয়ে বাংলাদেশে ফেরার ষড়যন্ত্র কষছেন তিনি। আর বারবার ওবায়দুল কাদেরকে মৃত বানিয়ে নয়া ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পায়তারা করছে ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী হাসিনার দল এমনটিই মনে করছেন নেট নাগরিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *