
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলার পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরায়েল। এর অংশ হিসেবে বড় আকারে রিজার্ভ সেনা জড়ো করবে তারা। শুক্রবার (২ মে) এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো।
তারা বলেছে, সেনার সংখ্যা কমায় এবং গাজায় থাকা জিম্মিদের ভাগ্য নিয়ে উৎকণ্ঠা দেখা দেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার।
আজ শুক্রবার নেতানিয়াহু তার নিরপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। এতে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীরা উপস্থিথ থাকবেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইয়েদিয়ুথ আহরোনোথ। সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, “গত কয়েকদিনে একাধিক রিজার্ভ অফিসার তাদের ইউনিটকে হঠাৎ ডাকের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে।”
গতকাল বৃহস্পতিবার দখলদার প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানান, জিম্মিরা নয়, গাজা যুদ্ধে জয় পাওয়া তাদের প্রধান লক্ষ্য। এরপরই বড় হামলার শঙ্কা বেড়েছে।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস দখলদার ইসরায়েলকে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বদলে তাদের সব জিম্মিকে একসঙ্গে ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে নেতানিয়াহু সরকার এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইঙ্গিত দিয়েছে, লক্ষ্য ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ‘যন্ত ও দায়িত্বের সঙ্গে’ রিজার্ভ সেনাদের জড়ো করা হবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় বর্বর হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের হামলায় উপত্যকাটিতে এখন পর্যন্ত ৫৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
গত জানুয়ারিতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। কিন্তু দখলদাররা চুক্তি লঙ্ঘন করে পবিত্র রমজান মাসে ঘুমন্ত গাজাবাসীর ওপর আবারও গণহত্যা চালানো শুরু করে।