এবার আলোচনায় শুভেন্দুর ড্রোন, আসলে কতটা কাজের?

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সীমান্ত উত্তেজনার মাঝে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে ড্রোন পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তবে আধুনিক বিশ্বে ড্রোনের ব্যবহার যুদ্ধের পরিসর বদলে ফেলেছে এবং অনেক রাষ্ট্রই এই প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে।

এক্ষেত্রে ভারত এখনো যথেষ্ট পিছিয়ে রয়েছে, এবং এর ড্রোন ভান্ডার আধুনিক অস্ত্র হিসেবে চীনের ও পাকিস্তানের চেয়ে অনেকটাই দুর্বল। ভারতের হাতে বর্তমানে ৬৫০ থেকে ৭০০টি ড্রোন রয়েছে, যার অধিকাংশই স্থানীয় প্রযুক্তি অথবা ইসরায়েল থেকে পাওয়া পুরনো মডেলের।

অন্যদিকে, বিশ্বব্যাপী প্রধান সামরিক শক্তির দেশগুলো, যেমন আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, তুরস্ক এবং ইরান আধুনিক ড্রোন প্রযুক্তিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে। তবে, ভারতের কাছে সীমিত ড্রোন প্রযুক্তি রয়েছে।

ইসরায়েল থেকে আনা হেরন ড্রোন এবং অন্যান্য নজরদারি ড্রোনের মধ্যে বেশিরভাগই শুধুমাত্র গোপনীয়তা রক্ষা বা সঠিক লক্ষ্যে নজরদারি করতেই ব্যবহার করা হয়। এর পাশাপাশি, ভারত কিছু উন্নত ড্রোন তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে।

দেশটির স্থানীয় সংস্থা কিউ আলফা এরোস্পেস শব্দের চেয়ে ১০ গুণ দ্রুত গতির ড্রোন তৈরির পরিকল্পনা করছে, এবং ডিআরডিও বিভিন্ন ড্রোনের পরীক্ষামূলক উন্নয়ন করছে।

তবে, এগুলোর অধিকাংশই এখনও পরীক্ষাধীন এবং এগুলোর ভারতীয় বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে আরও বহু বছর সময় নিবে। এছাড়া, ভারত কিছু আত্মঘাতী কামিকাজে ড্রোন তৈরি করেছে যা মাত্র ৩০০০০ টাকায় তৈরি হয়ে ৭০০ গ্রাম বিস্ফোরক বহন করতে সক্ষম।

তবে, এসব ড্রোনের কার্যকারিতা এবং সক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম। বিশ্বে তুরস্কের বাইরা ড্রোন বর্তমানে ড্রোন প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় নাম হয়ে উঠেছে। তার ক্ষমতা এবং দক্ষতার কারণে এটি অন্যান্য দেশগুলোর ড্রোন প্রযুক্তিকে পেছনে ফেলে দিয়েছে।

বাংলাদেশের হাতে ৫০টির মতো ড্রোন থাকার খবর সামনে আসায়, ভারতের ড্রোন সক্ষমতা নিয়ে আরও প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে, ভারত বর্তমানে আধুনিক ড্রোন প্রযুক্তি পাওয়ার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।

এখন প্রশ্ন হলো, শুভেন্দু অধিকারী যে ড্রোন পাঠানোর কথা বলেছেন, সেই ড্রোন আসলে ভারতীয় বাহিনীর কতটা কাজে আসবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *