
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক নতুন নম্বর বিভাজন প্রকাশ করেছে। ২০২৬ সাল থেকে এ পদ্ধতি কার্যকর হবে বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী তিনটি বাদে সব বিষয়ের ওপর পূর্ণাঙ্গ ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। নতুন বিভাজনে প্রত্যেক বিষয়ের সৃজনশীল, সংক্ষিপ্ত উত্তর, বর্ণনামূলক ও বহুনির্বাচনী অংশে কত নম্বর থাকবে, সেটি উল্লেখ করা হয়েছে।
নতুন কাঠামো অনুযায়ী— বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, ধর্মীয় শিক্ষা, ব্যবসায় শিক্ষা, বিজ্ঞানশাখার বিষয়, চারু ও কারুকলা, সংগীতসহ প্রায় সব বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
পুরো ১০০ নম্বরের আওতায় থাকা বিষয়গুলো হচ্ছে— বাংলা (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র), ইংরেজি (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র), গণিত, উচ্চতর গণিত, বিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ভূগোল ও পরিবেশ, অর্থনীতি, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, ব্যবসায় উদ্যোগ,
হিসাববিজ্ঞান, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টধর্ম শিক্ষা, কৃষিশিক্ষা, গার্হস্থ্যবিজ্ঞান, চারু ও কারুকলা, সংগীত, আরবি, সংস্কৃত, পালি, বেসিক ট্রেড আর ৫০ নম্বরের পরীক্ষা তিনটি বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে। সেগুলো হচ্ছে— শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলা, ক্যারিয়ার শিক্ষা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)। তবে এই নতুন নম্বর বিভাজন কার্যকর হবে ২০২৬ সালে৷
বর্তমানে নবম শ্রেণিতে থাকা শিক্ষার্থীরা এই কাঠামোর আওতায় প্রথম এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে।