ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ই’স’রায়েলে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা

ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়েছে ইসরায়েল। দাবানলের আগুনে দিশাহারা হয়ে পড়েছে দেশটির নাগরিকরা। এমন পরিস্থিতিকে দেশটিতে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেরুজালেম পার্বত্য অঞ্চলে ভয়াবহ দাবানলের প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সেনাবাহিনী

মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আইডিএফ প্রধান আইয়াল জামিরকে অবিলম্বে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করে দাবানল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করার অনুরোধ জানান।

কাটজের অফিস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা এখন একটি জাতীয় জরুরি অবস্থার মধ্যে আছি। জীবন রক্ষা ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সকল উপলব্ধ বাহিনীকে একত্রিত করতে হবে।

এর আগে টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জেরুজালেম শহরের পশ্চিমাংশের এস্টাওল বনাঞ্চলে বুধবার দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে কয়েকটি কমিউনিটি এলাকা খালি করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিব

থেকে জেরুজালেম যাওয়ার প্রধান মহাসড়ক রুট ১ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে ইসরায়েলে এটি দ্বিতীয় ঘটনা, যেখানে রাজধানীর পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকায় ভয়াবহ আগুন লাগায় বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়।

ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস জানিয়েছে, জেরুজালেমের পাহাড়ি অঞ্চলের অন্তত ৫টি স্থানে আগুন জ্বলছে। প্রচণ্ড গরম ও প্রবল বাতাস আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

নেভে শালোম, বেকো’আ, টা’ওজ এবং নাখশোন গ্রামগুলো খালি করা হয়েছে। পাশাপাশি লাটরুনের সামরিক স্মৃতিস্তম্ভ থেকেও মানুষ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে একটি স্মরণসভা বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও, একটি পার্শ্ববর্তী মঠ থেকেও লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ মেসিলাত সিয়ন গ্রাম খালি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইসরায়েল ন্যাচার অ্যান্ড পার্কস অথরিটি আশপাশের বেশ কয়েকটি পার্ক থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নিয়েছে।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, রুট-১ হলো জেরুজালেম ও তেল আবিবের মধ্যে প্রধান মহাসড়ক। এটি দাবানলের কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়াও, রুট ৩, ৬৫, ৭০ এবং ৮৫-ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি দাবানলের জন্য জেরুজালেম-তেল আবিব রুটে ট্রেন চলাচলও বাতিল করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *