
লন্ডনে চিকিৎসা শেষে চার মাস পর ফের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশে ফিরছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আগামী সোমবার লন্ডন থেকে রওনা হবেন, পরের দিন মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছাবেন তিনি।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের অনুরোধে কাতারের আমির বেগম খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি সরবরাহ করেছেন। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন খালেদ জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ কৃতজ্ঞতা জানান সাবেক এই প্রেস সচিব। পোস্টে মারুফ কামাল লেখেন, ‘কাতারের সরকার, রাজপরিবার ও বাংলাদেশে
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ইন্টেরিম গভর্নমেন্টের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। বিএনপির আবেদনে, ইউনূস সরকারের অনুরোধে কাতারের আমির বেগম খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ করেছেন।
তিনি আরও লেখেন, ‘চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ম্যাডাম জিয়ার লন্ডন যাওয়া এবং সেখান থেকে ফেরার জন্য সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় অতি উন্নত প্রযুক্তি ও বহুবিধ সুবিধাসম্বলিত এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের বন্দোবস্ত হওয়ায় আল্লাহর দরবারে লাখো শুকরিয়া।’
এর আগে শনিবার রাতে বিএনপির মিডিয়া উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় খালেদা জিয়ার আসার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। অবশ্য মঙ্গলবার ঠিক কখন খালেদা জিয়া ঢাকায় পৌঁছাবেন, তা জানা যায়নি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা পিছিয়েছে। তিনি আগামী মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন। দলটির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার খালেদা জিয়ার দেশের ফেরার তথ্য জানানো হয়েছিল।
শায়রুল কবির জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ ভাইয়ের মাধ্যমে বিএনপি মহাসচিবের নির্দেশে আপনাদেরকে নিশ্চিত করছি যে,
কাতার আমিরের দেওয়া বিশেষ বিমান এয়ার এম্বুলেন্স সোমবার লন্ডন থেকে চেয়ারপারসনকে নিয়ে রওনা করবে। তিনি মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছাবেন। সময় চুড়ান্ত হবার পর জানানো হবে বলেও জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের এ সদস্য।
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যান খালেদা জিয়া। লন্ডনে পৌঁছেই লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন তিনি।
টানা ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে ২৫ জানুয়ারি থেকে খালেদা জিয়া তারেক রহমানের বাসায় তাদের অধীনে চিকিৎসাধীন।