ভারত-পাকিস্তান যু’দ্ধ রুখল যে গোপন গোয়েন্দা বার্তা!

আকস্মিকভাবে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। আর এই যুদ্ধ থামার পেছনে ছিল এক গোপন ও বিপজ্জনক গোয়েন্দা বার্তা।যা পেয়েই নড়েচড়ে বসে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন হস্তক্ষেপেই শেষমেশ বিরতিতে সম্মত হয় দুই পারমাণবিক প্রতিবেশী।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিপদজনক গোয়েন্দা তথ্যেই থেমেছে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ।

পাল্টাপাল্টি হামলার চারদিন পর, অনেকটা আকস্মিকভাবে ১০ মে যুদ্ধবিরোতিতে সম্মত হয় ভারত এবং পাকিস্তান। আর যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানান, দুই পরাশক্তির যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতা করেছেন তিনি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন দাবি করে, ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত নাটকীয় মোড় নিতে পারে। স্থানীয় সময় ৯ মে শুক্রবার সকালে গোয়েন্দা সূত্রে এমনই তথ্য পায় যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভেন্স ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরোতি আলোচনা শুরুর আহ্বান জানান।

কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তাদের একটি দল,যাদের মধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কু রুবিও এবং হোয়াইট হাউসের চিফ অফ স্টাফ সুসি ওয়াইলস ভারত এবং পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান সংঘাত ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছিলেন।

সিএনএন জানিয়েছে, তথ্যগুলো সংবেদনশীল হওয়ায় এর ধরণ এবং প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, গোয়েন্দা তথ্যে গুরুত্ব অনুধাবন করে জেডি ভ্যান্স নিজেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে টেলিফোন করেন।

হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জানান, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, “চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে সংঘাত নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”

ট্রাম্প জানান, রাতভর আলোচনার পর দুই প্রতিবেশী দেশ তাৎক্ষণিকভাবে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধবিরোতিতে রাজি হয়েছে। ট্রাম্পের ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভারত ও পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স মোদিকে সরাসরি পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে উৎসাহিত করেন। ভারতের ‘অপারেশন সিদুর’ এবং পাকিস্তানের ‘অপারেশন বুনিয়ান মারসুস’-এর পাল্টাপাল্টি হামলার মধ্যেই ১০ মে,

শনিবার বিকেলে ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরোতির ঘোষণা দেয়। এনএক্স পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। যদিও ভারতের বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

যুদ্ধের মুখ থেকে ফিরে আসা ভারত-পাকিস্তানের এই কূটনৈতিক নাটকীয়তায় গোয়েন্দা তথ্যের ভূমিকা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, তা আবারও প্রমাণিত হলো।

আন্তর্জাতিক চাপ, কূটনৈতিক তৎপরতা ও গোপন বার্তার এমন সংমিশ্রণেই হয়তো রক্ষা পেল দক্ষিণ এশিয়া একটি বড় ধরনের সংঘাত থেকে।

সূত্র:https://tinyurl.com/yvkhvms2

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *