
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহতের ঘটনায় ক্যম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে রাত ২টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগের (ডিবি) ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) নেতৃত্বে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অভিযান পাঁচজনকে আটক করে।
এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ও স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক নিহত শাহরিয়ার আলম সাম্য মঙ্গলবার রাতের দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে মুক্তমঞ্চের
পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বহিরাগত বাইকারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এরপর কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে সাম্যকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিসৎক সাম্যকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্ররা রাতেই ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে ক্যাম্পাসজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভে অংশ নেন।