
এপ্রিল মাসের বেতন এখনো পাননি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। কবে পাবেন, সে নিশ্চয়তাও নেই। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন ঈদুল আজহার বোনাস ও মে মাসের বেতন পাওয়া নিয়েও সংশয়ে রয়েছেন শিক্ষকরা।
ঈদের আগেই স্কুল-কলেজের এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ও বোনাস পরিশোধের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। তবে মে মাসের বেতন ও বোনাস ঈদের ছুটি শুরুর আগেই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান।
রোববার (১৮ মে) জাগো নিউজকে মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, এপ্রিল মাসের বেতনটা বকেয়া রয়েছে। সেটির প্রস্তাব আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এটা অনুমোদন হয়ে আসলে খুব দ্রুত ঈদুল আজহার বোনাসের প্রস্তাব পাঠানো হবে। তারপর মে মাসের বেতনের প্রস্তাব দেবো।
মাউশির ডিজি বলেন, ঈদের ছুটি শুরুর আগেই শিক্ষক-কর্মচারীরা মে মাসের বেতন ও উৎসব ভাতার (বোনাস) অর্থ পাবেন। দুটি বেতন ও বোনাস হয়তো একসঙ্গে পাবেন না। আগে বোনাস ছাড় হতে পারে। এরপর বেতনের অর্থ পাবেন।
এদিকে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ঈদের বোনাস বাড়ানোর প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ফলে আসন্ন ঈদুল আজহা থেকে শিক্ষকরা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে বোনাস পাবেন। তবে কর্মচারীরা আগের মতোই বোনাস পাবেন।
জানা যায়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত ৮ ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হয়। এ অর্থ তুলতে শিক্ষকদের নানান ভোগান্তিতে পড়তে হতো।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওর বেতন-ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। পরবর্তী সময়ে গত ১ জানুয়ারি এক লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পান।
দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার, তৃতীয় ধাপে ৮৪ হাজার এবং চতুর্থ ধাপে ৮ হাজার ২০০ এর অধিক শিক্ষক-কর্মচারী ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসের বেতন পেয়েছেন। তবে তারা এখনো এপ্রিল মাসের বেতন-ভাতা পাননি। এরই মধ্যে এপ্রিলের বেতনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহে তারা বেতন পেতে পারেন।