
সরকারি চাকরিজীবীরা মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে কত শতাংশ পাবেন সেটি এখনও নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নতুন অর্থবছরে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা হবে, তবে কিছুটা সময় লাগবে।
তিনি বলেন, মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। হওয়ার সম্ভাবনা মোটামুটি। কখন থেকে দিতে পারবো, কত দিতে পারবো- এটার জন্য কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছি।
মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা হবে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা।
সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে বছরের শুরুতে আলোচনা শুরু হলেও তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে সম্প্রতি ফের আলোচনা শুরু হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। জানা গেছে, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত মহার্ঘভাতার ঘোষণা আসতে পারে।
গত জানুয়ারি মাস থেকেই সরকারি চাকরিজীবীদের মহার্ঘ ভাতা কার্যকরের পরিকল্পনা ছিল সরকারের।
সে অনুযায়ী উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সংকটকালীন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এ উদ্যোগের সামালোচনা করেন অর্থনীতিবিদরা। তখন সরে এলেও এখন নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
প্রাথমিক প্রস্তাব অনুযায়ী, ১ থেকে ৯ নম্বর গ্রেডের কর্মীদের জন্য ১০ শতাংশ এবং বাকিসব গ্রেডের জন্য ২০ শতাংশ হারে ভাতা চালুর কথা ভাবা হচ্ছে। এতে অতিরিক্ত খরচ হবে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। তবে ১ থেকে ৯ গ্রেডের ভাতা ১৫ শতাংশে বাড়ালে মোট ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ ছিল ৮২ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ। গত সরকারের আমলে বৈষম্যের শিকার চাকরিজীবীদের কয়েক দফায় পদোন্নতি দেওয়ায় সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বেড়ে ৮৪ হাজার কোটি টাকা হয়েছে।