যে সকল নির্দেশ আসতো শেখ হাসিনার কাছ থেকে, ব্যাখ্যায় যা জানালেন মাহমুদুর রহমান

বিডিআর বিদ্রোহকে উপলক্ষ করে যেই ম্যাসাকার করা হয়েছিল তাতে ডিরেক্টলি আওয়ামী লীগ এবং শেখ পরিবারের হাত ছিল। এছাড়াও গত পনেরো বছরে ফ্যাসিবাদী শাসনামলে গুম খুনের নির্দেশ আসতো শেখ হাসিনার কাছ থেকেই।

বলেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘জেনারেল আজিজ কর্নেল শহীদকে বলেছিলেন সিটিং আর্মি চীফ তারেক সিদ্দিকীর সবগুলো গুম-খুনের জন্য দায়ী, এবং তিনি ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে এই গুম-খুনের নির্দেশ আসতো শেখ

হাসিনার কাছ থেকে। ইতিহাসে কোনো পক্ষপাতিত্ব করার সুযোগ নেই।’ ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে ভারতের সাথে চুক্তির মোতাবেক হাসিনাকে জয়লাভ করানো হলো। এই বিজয়ে এরপর ২০০৯ সালে হলো বিডিআর হত্যাকাণ্ড।

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ভারত এবং আওয়ামী লীগ তারা বিডিআর এর সৈনিকদের ব্যবহার করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নৈতিকতা ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছিল।

বিডিআর বিদ্রোহ না হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পনেরো বছরে ফ্যাসিবাদী ভারতের শাসন বরদাস্ত করতো না। বরদাস্ত করেছে শুধুমাত্র বিডিআর বিদ্রোহের কারণে। মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহে সরাসরি আওয়ামী লীগের হাত ছিল।

শেখ পরিবারের হাত ছিল। এবং তাদের প্রত্যেকের নাম এসেছে। শেখ তাপসের নাম এসেছে। শেখ সেলিমের নাম এসেছে। কিন্তু কারো বিচার হয়নি। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহের পরপরই আয়নাঘরও নির্মাণ হয়ে গেছিলো।

তার প্রমাণ আমি নিজে। কারণ র‍্যাবের যেই আয়নাঘর, সেই আয়নাঘরে আমি এক দিন ছিলাম। সেই আয়নাঘরে ২০১০ সালের জুন মাসে আমি এক দিন ছিলাম। র‍্যাব-১ নম্বর হেডকোয়ার্টারের আয়নাঘর, যেখানে কিছুদিন আগে আমাদের ড. ইউনূস সাহেব ঘুরে এসেছেন, ঐ জায়গাতে আমি এক দিন ছিলাম। সুতরাং আয়নাঘর ২০১০ সালেই তৈরি করা হয়ে গেছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *