প্রকাশ্যে জোট বাঁধছে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতারা

যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। বিশেষত, লন্ডনের নানা

সামাজিক ও সাংগঠনিক অনুষ্ঠানে তাদের প্রকাশ্য উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ও বিএনপি নেতারা। গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পাল্টে যাওয়ার পর, একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নেন।

এরপর থেকেই লন্ডনে তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। শহরের বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ, সভা-সমাবেশ ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে লন্ডনের শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের সময় এবং সম্প্রতি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এক নেতার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা গেছে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ,

সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শফিকুর রহমান চৌধুরী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর মতো নেতাদের।

সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান হাবিবের সঙ্গেও তাদের দেখা যায়। এ ধরনের একত্রিত উপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাজ্য বিএনপি ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি অংশ বলছেন,

এইসব পলাতক নেতাদের অবাধ বিচরণ দেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করছে। তারা বলেন, এসব নেতা দেশ থেকে লক্ষ কোটি টাকা পাচার করে লন্ডনে এসেছেন এবং এখন সামাজিক অনুষ্ঠানে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এর প্রতিবাদে তারা বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ এবং সামাজিকভাবে বয়কটের ডাক দিয়েছেন।

যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, “এটা দুর্নীতিবাজদের এক ধরনের দুষ্ট সামাজিকতা, যা প্রবাসে আমাদের দেশের সম্মান ক্ষুন্ন করছে। আমরা সকল প্রবাসীদের আহ্বান জানিয়েছি—এইসব ব্যক্তিদের দেখামাত্র প্রতীকী প্রতিবাদ জানানোর জন্য, এমনকি তাদের হাতে জুতা-স্যান্ডেল তুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার অনুরোধও করেছি।

কমিউনিটির সাধারণ প্রবাসীদের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন এই নেতাদের রাজনৈতিক নৈতিকতা নিয়ে। তারা বলছেন, যারা দেশের মানুষের টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশে পালিয়ে এসেছেন, তাদের এভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।

প্রবাসীদের মতে, নতুন প্রজন্ম এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেখে বিভ্রান্ত হচ্ছে। তারা জানেন না—এইসব নেতা কীভাবে দেশ থেকে পালিয়ে এসেছেন।

এ অবস্থায় যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, এসব পলাতক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা করা হোক।

তথ্যসূত্রঃ https://youtu.be/z4hDfElFbzc?si=tF16t5vvrm-2KbkW

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *