দেশ থেকে বের করে দিতে চায় ভারত, চরম বিপাকে পলাতক আ. লীগ নেতারা!

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসামে দীর্ঘদিন ধরে নির্বিঘ্নে আশ্রয় নেওয়া পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর এবার নেমে এসেছে দুশ্চিন্তার কালো ছায়া। দেশটিতে অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযানের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় প্রায় দেড় লাখ নেতাকর্মী পড়েছেন চরম উৎকণ্ঠায়।

সূত্র জানিয়েছে, ৫ আগস্টের পর থেকে ভারতের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন বাংলাদেশি পলাতক নেতারা, যাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট।

প্রথমদিকে এসব নেতাকর্মী পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসামের বিভিন্ন শহরে নির্বিঘ্নে বসবাস করলেও বর্তমানে পরিস্থিতি বদলেছে। ভারতের সংসদে সংশোধিত অনুপ্রবেশ বিরোধী আইন কার্যকর হওয়ার পর নন-সিটিজেনদের দ্রুত ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। এতে করে পলাতক নেতাদের অবৈধ অবস্থান দিনদিন আরও সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে।

ভারতে অবস্থানরত অনেক আওয়ামী লীগ নেতা গোপন যোগাযোগের মাধ্যম—ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ও সিগন্যাল ব্যবহার করে দলীয় কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবি সূত্রের। কেউ কেউ পরিবারসহ দীর্ঘদিন ধরে ভারতে বসবাস করলেও এখন তাদের সেখান থেকেও চলে যেতে বলা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে কেউ কেউ ইতোমধ্যেই পাড়ি জমিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। অনেকে আবার চেষ্টা করছেন রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করতে। তবে দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বেশিরভাগই এখনো দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।

দলের অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেত্রী শেখ হাসিনাকেও ভারত ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি দলের নেতাদের দেশে ফেরার নির্দেশ দিলেও, এতে দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগের এই বিপর্যয় হঠাৎ করে আসেনি। দেশের ভেতরে অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা, উসকানিমূলক বক্তব্য এবং সহিংস কর্মসূচির মাধ্যমেই তারা নিজেদের এ পরিণতির দিকে ঠেলে দিয়েছেন।

সব মিলিয়ে ভারতের কঠোর অবস্থানের মুখে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এই সংকট কতদিন স্থায়ী হবে—তা নিয়েও রয়েছে প্রবল অনিশ্চয়তা।

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=edIdt3Pvh9g

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *