এবার পাকিস্তান ইস্যুতে সেনাবাহিনীকে নতুন নির্দেশ নরেন্দ্র মোদির

পেহেলগাম ইস্যুতে টানা ১৯ দিনের উত্তেজনা ও শেষ চার দিনের সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ মে সন্ধ্যা থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।

তারপরেও দুই পক্ষ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। এ অবস্থায় সেনাবাহিনীকে কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীকে বলেন, পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপের প্রতি ভারতের প্রতিক্রিয়া আরও জোরালো হওয়া উচিত। ভারতের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়,

মোদি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ওহা সে গোলি চলেগি, ইহা সে গোলা চলেগা। অর্থাৎ ওদিক থেকে যদি গুলি চালানো হয়, তবে এখান থেকে গোলা ছোড়া হবে।

এর আগে, ভারত শাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় এক বিদেশি নাগরিকসহ ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শুরু থেকেই পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে ভারত।

তবে, হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্তে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছিল ইসলামাবাদ। তারপরেও পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ নেয় ভারত। পাল্টা ব্যবস্থা নেয় পাকিস্তানও।

দুই দেশের টানা দুই সপ্তাহ পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকির মধ্যে গত ৭ মে পাকিস্তানের অন্তত ৯টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ভারত। এতে অনেকেই হতাহত হোন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চালানো এই অভিযানের নাম দেওয়া হয় অপারেশন সিন্দুর। যদিও পাকিস্তানের দাবি, তারা বেশ কয়েকটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।

এরপর ১০ মে ভোরে ফের পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এর জবাব দিতে ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’ শুরু করেছে পাকিস্তান। ভারতের ১১টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইসলামাবাদ। ব্যবহার করা হয় ফাতাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র। পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের চরম উত্তেজনার মধ্যে শনিবার বিকেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সম্মতির কথা জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *