
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ জানিয়েছেন, যদি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়, তাহলে তিনটি দীর্ঘদিনের ইস্যু—কাশ্মীর, সন্ত্রাসবাদ ও পানি—মূল এজেন্ডা হিসেবে থাকবে।
জিও নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ একে “ঐতিহাসিক সুযোগ” বলে উল্লেখ করেন কাশ্মীর ইস্যু সমাধানের জন্য। তিনি বলেন, “গত ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে সন্ত্রাসবাদ চলছে। এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী পাকিস্তান। আমাদের দোষী বানানো অন্যায়।”
তিনি আরও বলেন, ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি একতরফাভাবে বাতিল করার সুযোগ নেই এবং এটি বলবৎ থাকবে। সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও কূটনৈতিক কৌশলকে তিনি “বড় বিজয়”
বলে অভিহিত করেন। তাঁর মতে, ভারতের ভেতরে এখন মোদিকে ঘিরে সমালোচনা বাড়ছে। এই মন্তব্য আসছে এমন এক সময়ে, যখন দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শনিবার পূর্ণ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘোষণা দেন, পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক ডার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও তা নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পেহেলগামে একটি হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। ভারত এ হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক গোষ্ঠীগুলোর ওপর দোষ চাপালেও কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। পাকিস্তান এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।
ভারত পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে, পাকিস্তানি ভিসা বাতিল করে এবং সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দেয়—যা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে “যুদ্ধ ঘোষণার শামিল” বলে অভিহিত করা হয়।
জবাবে পাকিস্তান শুরু করে ‘অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস’। দেশটি দাবি করে, এতে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস এবং ৭৭টি ইসরায়েলি উৎপাদিত হারপ ড্রোন আটকানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে ব্যাকচ্যানেল কূটনৈতিক তৎপরতায় উত্তেজনা কমে আসে। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা অনুযায়ী উভয় দেশ স্থল, আকাশ ও সমুদ্র সীমান্তে সামরিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়, যদিও নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষবিরতির লঙ্ঘনের অভিযোগ এখনও শোনা যাচ্ছে।
সূত্র: https://tribune.com.pk/story/2545391/three-key-issues-will-be-discussed-with-india-if-talks-are-held-khawaja-asif