
আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণার পর দেশের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা-সমালোচনা। বিশেষ করে বিরোধী দল বিএনপি-র নেতৃবৃন্দের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা।
সরকারি নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটগত ১০ মে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থগিত করা হয়। এর আগে ছাত্র আন্দোলনের জেরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে।
বিএনপির মিশ্র প্রতিক্রিয়াআওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ঘোষণার পরপরই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।
তবে একই দিন জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপির আরেক নেতা মির্জা আব্বাস একে “নাটকীয়তা” বলে অভিহিত করেন। তিনি অভিযোগ করেন, “শাহবাগে নাটক চলছে কয়েকদিন ধরে।” সেই সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন, “জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কীভাবে সমাবেশ করছে যেখানে নিষেধাজ্ঞা জারি আছে?”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এনসিপি আসলে একটি “সরকারপন্থী দল”।
“আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছে বিএনপি”—এই অভিযোগেও প্রতিক্রিয়ারাজনৈতিক অঙ্গনে কিছু গুঞ্জন ছিল, বিএনপি নাকি আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। এ প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন,
“আমরা সেই সব লোকদের পুনর্বাসন করব না, যারা গত ১৫ বছর ধরে নির্যাতনের শিকার হয়ে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে।”
আওয়ামী লীগ নিয়ে সাবেক নেতার মন্তব্যবিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ফজলুর রহমান এক জাতীয় দৈনিকে সাক্ষাৎকারে বলেন,
“আওয়ামী লীগের এখন আর কিছু করার নেই। বাংলাদেশের ৯৯% মানুষ বাঙালি, তাই ‘বাঙালি রাজনীতি’ মানেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি।”
তিনি আরও বলেন,
“আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা বা কোনো ব্যক্তি নয়—এটি মাটি ও জাতিসত্তা থেকে উঠে আসা একটি রাজনৈতিক দল।”
“আজ আওয়ামী লীগ, কাল বিএনপি?”—গাইেশ্বরের প্রশ্নআওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে বিরোধিতা করে বিএনপির নেতা গাইেশ্বর চন্দ্র রায় বলেন,
“কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে কখনো সমস্যার সমাধান হয়নি। আজ যারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে চায়, তারাই হয়তো কাল বিএনপি নিষিদ্ধ করার কথা বলবে!”