এবার পলাশ সাহার আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী প্রভা

র‌্যাবের এএসপি পলাশ সাহার আত্মহত্যার ঘটনা গত কয়েক দিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে। এরপর সম্প্রতি এ ঘটনায় মুখ খুলেন তার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা ও মা আরতি সাহা, তবে তাদের দুজনেই দুজনের দিকে আঙুল তুলে দোষারোপ করতে দেখা গেছে।

পলাশের স্ত্রী সুস্মিতা গণমাধ্যমে দাবি করেছেন, ওর (পলাশ সাহা) মা আমাকে সংসার করতে দেয়নি। আমার স্বামী আমার হাতের রান্না ভালো খেতো বলে আমার শাশুড়ি আমার রান্নাবান্না করা বন্ধ করে দিলো।

আমার শাশুড়ির পরিকল্পনা ছিলো ছেলে বিয়ে করবে, তাড়াতাড়ি বাচ্চা হয়ে যাবে, বউ সংসার আর বাচ্চা নিয়ে থাকবে, আর সে তার ছেলেকে নিয়ে থাকবে।

স্ত্রীকে আলাদা করে সময় দিতেন না পলাশ দাবি করে সুস্মিতা সাহা আরও বলেন, ও বলতো বউকে আলাদা করে সময় দেয়ার কি আছে, মা আছে, আমি আছি, তুমি আছো যা করবো একসঙ্গে করবো। বউকে তো রাতে ভালোবাসা যাবে, রাতে তো বউয়ের সঙ্গে ঘুমাই, তখনই ভালোবাসবো। কিন্তু আমি বলতাম বউকে কি শুধু রাতে ভালোবাসার জন্য, ঘুমানোর জন্য বিয়ে করে, বউয়ের কোন শখ আহ্লাদ থাকে না।

এরপর অভিযোগ তুলেন শাশুড়ির বিরুদ্ধে। সুস্মিতা আরও বলেন, ‘আমাদের স্বামী-স্ত্রীকে এক সঙ্গে কথা বলতে দিতো না। দিনের মধ্যে যতটুকু বাসায় থাকার সুযোগ পেতো ততটা সময় আমার শাশুড়ির সঙ্গে থাকতো। কিন্তু আমি কিছু মনে করতাম না।

সংসার কেবল মাত্র শুরু করেছি হয়তো একদিন না এতদিন ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এই একদিন দিনের পর দিন হতেই থাকল, আমার স্বামীর মধ্যে কোনো পরিবর্তন হলো না। ও ওর মাকে সময় দিতো, আমাকে আর সময় দিতো না।’

পলাশের স্ত্রীর এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। এরপর নেটিজেনরা র‌্যাবের এই এএসপির মায়ের দিকে আঙুল তুলে প্রশ্ন করতে শুরু করেন।

এবার সেই কাণ্ডে সরব হলেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে অভিনেত্রী লিখেছেন, হানিমুনেও নাকি মাকে নিয়ে যাইতে হয়! বাইরে গেলে নাকি মার হাত ধরে ঘুরতে হয়! বউয়ের রান্না ভালো হয়েছে এই প্রশংসা শুনলে আবার তরকারির পাতিলও ফালায় দেয়!!

প্রভার সেই পোস্ট দেখে ভক্তদেরও বুঝতে বাকি নেই, অভিনেত্রী কার দিকে আঙুল তুলেছেন। তিনি যে পরোক্ষভাবে পলাশ সাহার মায়ের দিকেই আঙুল তুলেছেন সেটা স্পষ্ট।

নেটিজেনরাও অভিনেত্রীর পোস্ট শেয়ার করে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। কেউ তার পক্ষ নিয়েছেন কেউ আবার পলাশের মায়ের পক্ষেই দাঁড়িয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *