
এইতো কদিন আগেই বাংলাদেশ বিমানের চাকা খুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটলো। সেটির রেশ না কাটতে কাটতেই এবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি প্লেনের ইঞ্জিনে
আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা রীতিমতো আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে যাত্রীদের মধ্যে। যদিও তাৎক্ষণিক বিষয়টি টের পেয়ে পাইলট প্লেনটি জরুরি অবতরণ করায় এ যাত্রায় প্রাণে বাঁচেন ২৯০ জন যাত্রী।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৭টায় তার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে ৭১৩ ফ্লাইটটি তুরস্কের ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে উড়ে যায়। উড্ডয়নের ঠিক ১৫ মিনিটের মাথায় পাইলট বিমানটির একটি ইঞ্জিনে স্পার্ক দেখতে পান।
তিনি প্লেনটিকে দ্রুত অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। এ অবস্থায় আকাশে চক্কর দিয়ে তেল পুড়িয়ে সোয়া ৮টায় জরুরি অবতরণ করে বিমানটি। পাইলটের দক্ষতা আর অভিজ্ঞতায় প্রাণ রক্ষা হয় ২৯০ জনের।
এদিকে, প্লেনটি অবতরণের পর বিমানবন্দরের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম ইঞ্জিন পরীক্ষা করে। এ সময় তারা ইঞ্জিনের ভেতর থেকে একটি পাখি মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। দুর্ঘটনার পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ জানান, উড্ডয়নের পরপরই পাইলট একটি ইঞ্জিনে কিছুটা স্পার্ক দেখতে পান। ধারণা করা হচ্ছে, বার্ড হিটের ঘটনা ঘটতে পারে।
ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে ফেরা টার্কিশ এয়ারলাইন্সের বিমানটিতে ২৫৬ জন ইকোনোমি ক্লাসের যাত্রী, ১৯ জন বিজনেস ক্লাসের আর শিশু ছিল পাঁচজন। ক্রু মেম্বার ১১ জন ও পাইলটসহ যার মোট সংখ্যা ২৯০ জন। প্রত্যেকেই অক্ষত রয়েছেন এই যাত্রায়।