
পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের বকেয়া বেতন এবং বর্ধিত ঈদ বোনাস পেতে পারেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে, যা শিক্ষকদের মধ্যে স্বস্তি এনেছে।
বুধবার (২১ মে) মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান জানিয়েছেন, শিক্ষকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ঈদের ছুটি (৫ জুন) শুরুর আগেই বেতন-বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এপ্রিল মাসের বকেয়া বেতন এবং ঈদুল আজহার বোনাস একসঙ্গে নাও আসতে পারে, তবে বোনাস আগে ছাড় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
অর্থ মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ঈদের বোনাস মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে বৃদ্ধির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। ফলে আসন্ন কোরবানির ঈদ থেকেই শিক্ষকরা এই বর্ধিত হারে বোনাস পাবেন। তবে কর্মচারীরা আগের নিয়মেই বোনাস পাবেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল মাসের বকেয়া বেতনের বিভিন্ন ধাপের সরকারি আদেশ (জিও) জারি করা হয়েছে, যার মধ্যে বৈশাখী ভাতাও অন্তর্ভুক্ত। শিগগিরই শিক্ষকরা তাদের বেতন-ভাতার টাকা হাতে পাবেন।
গত রোববার (১৮ মে) এপ্রিল মাসের বেতনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। বুধবার (২১ মে) অধিদপ্তর ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জিও জারির তথ্য নিশ্চিত করেন। তারা জানান, এপ্রিলের প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯০৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী, ডিসেম্বরের সপ্তম ধাপে ১ হাজার ২৪২ জন, জানুয়ারির চতুর্থ ধাপে ১ হাজার ৫৫৬ জন, ফেব্রুয়ারির তৃতীয় ধাপে (আংশিক) ১ হাজার ৫৭৩ জন এবং মার্চের দ্বিতীয় ধাপে (আংশিক) ১ হাজার ৫৭৩ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বকেয়া বেতন ও ভাতা পরিশোধ করা হবে।
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পেলেও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এতদিন অ্যানালগ পদ্ধতিতে রাষ্ট্রায়ত্ত ৪ ব্যাংকের মাধ্যমে ছাড় হতো। বর্তমানে অনেকেই ইএফটির মাধ্যমে বেতন পেতে শুরু করলেও, ইএমআইএস সেলে কর্মরত প্রকল্পভুক্তদের অবহেলা এবং উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসারদের গাফিলতির কারণে অনেক শিক্ষক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।