
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ছেলে ইয়ার নেতানিয়াহু জেরুজালেমের পাহাড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জন্য প্রমাণ ছাড়াই বামপন্থী কর্মীদের দায়ী করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। গতকাল বুধবার (৩০ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডলের একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, দাবানলের ঘটনায় কিছু সন্দেহজনক ব্যাপার আছে। তিনি দাবি করেন, কাপলানবাদী বামপন্থীরা ইচ্ছাকৃতভাবে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান ব্যাহত করার চেষ্টায় রয়েছে।
ইয়ার আরো বলেন, ‘আমার ধারণা, আরবরাই আগুন লাগিয়েছে, আমাদের নিজস্ব লোকদের সাহায্য ছাড়াই।’
যদিও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুন ইচ্ছাকৃত ছিল কি না—তা এখনো স্পষ্ট নয় এবং এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
নেতানিয়াহুর ছেলে ইয়াইর অতীতে তার একাধিক বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য পরিচিত। বুধবার (৩০ এপ্রিল) টেলিগ্রামে আরো একাধিক পোস্টে তিনি অগ্নিকাণ্ড ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য শিন বেটকে (ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা) দায়ী করেন। এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘শিন বেট এখন সরকারের বিরোধীদের দমন করতেই ব্যস্ত, আরব সন্ত্রাস দমনে নয়।’
এসব মন্তব্যকে অনেকেই নিরাপত্তা সংস্থার বিরুদ্ধে চলমান রাজনৈতিক প্রচারণার অংশ হিসেবে দেখছেন।
এদিকে ডানপন্থী রাজনীতিবিদ ও মন্ত্রীরা ইয়াইরের বক্তব্যে সুর মেলাচ্ছেন। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইটামার বেন গভির বলেন, ‘অগ্নিসংযোগকারীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত। তারা আসলে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করার চেষ্টা করেছে, এককথায় সন্ত্রাসী।’
শাস পার্টির নেতা আরিয়েহ দেরি বলেন, ‘যুদ্ধকালীন অগ্নিসংযোগকারীদের ‘আকাশ থেকে নির্মূল’ করা উচিত।’ তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানান, আইডিএফ যেন সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত অগ্নিসংযোগকারীদের ওপর সামরিক ব্যবস্থা নেয়।
দাবানলের কারণে ইসরায়েলের স্বাধীনতা দিবসের একাধিক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। বেশ কিছু শহরে মানুষ সরিয়ে নেওয়া হয় ও যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।