ট্রাম্পের কাছে সাহায্য চান হিটলার!

‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে সাহায্য চান হিটলার। ট্রাম্পের সাহায্য নিয়ে তিনি দেশের উন্নয়ন করবেন। এই সাহায্য তিনি একাই ভোগ করেবন না, অন্য সবার মধ্যে ভাগ করে দেবেনে।

ভাবছেন জার্মানির প্রয়াত নেতা অ্যাডলফ হিটলার কীভাবে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে সাহায্য চাইবে! আসলে এই হিটলার সেই ইতিহাস বিখ্যাত জার্মান নাগরিক নয়, বাংলাদেশের নাগরিক।

বৃহস্পতিবার (১ মে) মে দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠান-সমাবেশে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব, নয়া পল্টন এলাকায় হাজারো মানুষের উপস্থিতি। শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন যে যার মতো করে বক্তব্য দিচ্ছে,

অধিকারের কথা বলছে; অগ্নিঝরা বক্তব্যে শোষণ থেকে মুক্ত হওয়ার বারতা দিচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, চারদিকের মাইকের আওয়াজে কোনটা কোন সংগঠনের বক্তব্য সেটি বোঝা দায়।

সময় দুপুর সাড়ে ১২টা। প্রেস ক্লাবের ডান পাশের সড়ক বিভাজনে বয়স্ক এক ব্যক্তি ক্র্যাচ হাতে রেলিংয়ের সঙ্গে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। যার চোখে চশমা, পরনে পোলো টি-শার্ট, সঙ্গে লাল-সবুজের কটি আর বাদামি প্যান্ট।

তার গলায় ঝোলানো দুটি লেমিনেটেড প্ল্যাকার্ড। তার একটিতে লেখা ‘বাংলাদেশ পুলিশ স্যার, সংবিধান চাই—হিটলার’। অন্য প্ল্যাকার্ডে লেখা ‘মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্প আমাকে সাহায্য করুক’। উভয় প্ল্যাকার্ডে মোবাইল নম্বর দেওয়া।

দ্বিতীয় প্ল্যাকার্ড এবং হিটলার লেখা দেখে আগ্রহ নিয়ে বিষয়টি জানতে চায় ঢাকা পোস্টের এই প্রতিবেদক। জবাবে তিনি জানান, তার নাম হিটলার। আর তিনি বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে সাহায্য চান।

হিটলার নামের ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার পুরো নাম মো. হযরত আলী হিটলার। তিনি হিটলার নামেই বেশি পরিচিত। এই ব্যক্তির গ্রামের বাড়ি নরসিংদী সদরের হোসেনপুর। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক।

রিকশার প্যাডেলে তার জীবিকা চলে। থাকেন যাত্রাবাড়ীতে একটি মেসে। তার পরিবার গ্রামে থাকে। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে চেনেন কিনা, এমন প্রশ্নে হিটলারের জবাব, ‘চিনব না কেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্ট না, নরসিংদীর হিটলার জার্মানির হিটলারকেও চেনে। ট্রাম্পের কাছে কী সাহায্য চান, জানতে চাইলে হিটলার বলেন, ‘আমার টাকা লাগবে। উনি টাকা দিলে দেশের জন্য কাজ করব। দেশের উন্নয়ন করব।

আমি শুধু একা টাকা নেব না, সবাইকে দেব। বাংলাদেশ পুলিশ স্যার, সংবিধান চাই—লেখা প্ল্যাকার্ড প্রসঙ্গে হিটলার বলেন, ‘আমাদের এমন একটা সংবিধান করতে হবে যেখানে সবার কথা থাকবে। পুলিশ স্যারেরা সংবিধান করার জন্য সাহায্য করব।’

মে দিবস সম্পর্কে অবগত রয়েছেন হিটলার। তার ভাষায়, আজকের দিনতো শ্রমিকদের জন্য। এই একটা দিন কাজ করমু না সিদ্ধান্ত নিছি। সারা জীবন তো কাজে কাজে চলে গেল। কিন্তু কী পাইলাম!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *