আবারও ঘোলাটে রাজনীতি

আবারও ঘোলাটে হয়ে উঠছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। নির্বাচন, সংস্কার ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ ইস্যুতে অস্থির হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। নির্বাচন, সংস্কার এবং গণহত্যা-ফ্যাসিবাদে জড়িতদের বিচার ও নিষিদ্ধকরণ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নিজ নিজ অবস্থানে জটিল সমীকরণে দাঁড়াচ্ছে রাজনীতি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের জনগণের মধ্যে যে ঐক্য ছিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নানা ইস্যুতে তাতে ফাটল দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক মতবিরোধে বিভক্তি দেখা দিয়েছে দলগুলোর মধ্যে। ফলে অনেক ইস্যুর সমাধান হচ্ছে না। এ অবস্থা দেশের জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক নয়। সেজন্য দেশের স্বার্থে দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সুগম করতে হবে।

আগামী নির্বাচন, সংস্কারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চরম অস্পষ্টতা, অনাস্থা ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে দলগুলোর মধ্যে। আগে সংস্কার নাকি নির্বাচন—সেই ইস্যুর এখনো কূলকিনারা হয়নি। আর নির্বাচন হলেও আগে স্থানীয় নাকি জাতীয় নির্বাচন—সেটিও স্পষ্ট নয়। যদিও সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে। অনেক দল সরকারের সেই ঘোষণায় আস্থা রাখতে পারছে না। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আবারও রাজপথে নেমেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা। এ দাবিতে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। তারা সব রাজনৈতিক দল ও দেশপ্রেমিক নাগরিককে তাদের পাশে থাকার আহ্বান জানান। গতকাল বিকেলে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত এলাকা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এনসিপির দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে আন্দোলনে সরাসরি অংশ নেয় জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টিসহ কয়েকটি দল। এ ছাড়া আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে অবিলম্বে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। তবে আরেক বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি এ আন্দোলনে সরাসরি সমর্থন না দিলেও বিষয়টি সরকার, নির্বাচন কমিশন ও জনগণের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকার বলেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। সে পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানাচ্ছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা।

এদিকে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গতকাল বলেছেন, গণতান্ত্রিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও দোসরদের পুনর্বাসনেরও চেষ্টা চলছে। বর্তমান সময়ের আলোচিত এ নেতার এমন বক্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষদের মতে, নির্বাচন, সংস্কার এবং গণহত্যা-ফ্যাসিবাদে জড়িতদের বিচার ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ—এ তিন ইস্যুতে এখন রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয়। এ নিয়ে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর নিজস্ব ব্যাখ্যা রয়েছে। যার কারণে তৈরি হচ্ছে নানা সংকট। মতৈক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলো ধারাবাহিক বৈঠক করলেও কার্যত ফল একরকম শূন্য। পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকেও ঐকমত্যে পৌঁছাতে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত মতপার্থক্য দূর হওয়ার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু মৌলিক বিষয়ে দলগুলোর মতৈক্য বা সমঝোতা আটকে আছে। একেক দল একেক সময় নির্বাচনের দাবি করছে। কেউ সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে যেতে রাজি নয়, আবার কেউ নির্বাচনে যেতে হলে দাবি পূরণ করে যেতে হবে—এমন দাবি তুলছে। রাজনৈতিক দলগুলোর এমন মতপার্থক্য সবকিছুতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।

সংস্কার আর নির্বাচন ইস্যুতে এমনিতেই কয়েক মাস ধরে রাজনীতি উত্তপ্ত। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের কোনো নির্দিষ্ট দিন-তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। গত ১৭ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি বৈঠক করলেও সেখানে নির্বাচন নিয়ে কোনো রোডম্যাপ না পাওয়ায় অসন্তোষ রয়েছে দলটির মধ্যে।

মূলত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিভিন্ন ইস্যুতে আওয়ামী লীগের কয়েকটি বিবৃতি এবং সাংগঠনিক তৎপরতার কিছু ঘটনায় বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। সে সময় ঢাকার প্রেস ক্লাবের সামনে, সাভার, পাবনা, মুন্সীগঞ্জ, নড়াইলসহ বেশ কয়েকটি জেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। সে সময় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জোরালো হলেও বেশ কয়েক মাসে বিষয়টি অনেকটা চাপা পড়ে যায়। এমনই পরিস্থিতিতে গত বুধবার গভীর রাতে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ থাইল্যান্ডে যাওয়ার পর আবারও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়টি সামনে আসে। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় জুলাই আন্দোলনের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে। দলগুলোর নেতারা বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ, ছাত্র-জনতাকে গুম এবং হত্যা করা, আর্থিক খাতে সীমাহীন লুটপাট ও দখলদারিত্বের কারণে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

উল্লেখ্য যে, ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেছিলেন ‘সারডা সোসাইটি’ নামে এক মানবাধিকার সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া। যদিও রিটটি খারিজ করে দেন আদালত। তবে মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচার হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে আবারও সোচ্চার জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্র-জনতা। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে আবারও রাজপথে নেমেছেন তারা। আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণার দাবিতে বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থানের ঘোষণা দেন জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। পরে রাত ১০টার দিক থেকে যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও এনসিপির নেতাকর্মীরা হাসনাতের সঙ্গে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন। পরে রাত ১টার দিকে মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে যান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং কেন্দ্রীয় নেতারা। এনসিপির পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরাও রাতে বিক্ষোভে যোগ দেন। রাত ১টার পর হেফাজতে ইসলামের বেশ কিছু নেতাকর্মী ও রাত দেড়টার দিকে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির কিছু নেতাকর্মী যমুনার সামনে উপস্থিত হন। রাত ২টার দিকে সেখানে যান ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা। রাতভর বিক্ষোভ চলার পর গতকাল সকালে সেখানে যোগ দেন জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ঘোষণা দেন, বাদ জুমা যমুনার পূর্ব পাশে ফোয়ারার সামনে বড় জমায়েত করা হবে। একই সঙ্গে বিক্ষোভ কর্মসূচিও চলমান থাকছে। এ ঘোষণা দেওয়ার সময় জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ ইসলামী কয়েকটি দলের নেতাকর্মীরা হাসনাত ও নাসীরুদ্দীনের সঙ্গে ছিলেন। তাদের এ ঘোষণার পর সেখানে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। পাঁচটি পিকআপ ভ্যান একত্র করে এই মঞ্চ তৈরি করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে যমুনার সামনে থেকে সরে ফোয়ারার সামনের মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। জুমার নামাজের পর এই মঞ্চের সামনে বড় জমায়েত হয়। এনসিপির পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত ছাত্র মজলিসসহ বিভিন্ন সংগঠন ও দলের নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচিতে যোগ দেন। দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের কয়েকজন সেখানে বক্তব্য দেন। পরে শাহবাগ অবরোধ করার ঘোষণা দিলে জুমার নামাজের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অসংখ্য নেতাকর্মী সেখানে অংশ নেন।

তবে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এ বিষয়ে সরাসরি কোনো অবস্থান নেয়নি। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরাসরি একাত্মতা বা বিরোধিতার কিছুই করেননি তারা। বরং এ ইস্যুতে দলটির নীতিনির্ধারকরা কৌশলী অবস্থানে রয়েছেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান গতকাল বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কি হবে না তা বিএনপি নয়, জনগণ ঠিক করবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কি হবে না সেটা নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যেসব রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা বলছে তারা তাদের বক্তব্যে বলেছে। কাজেই বিএনপি হিসেবে তো আমরা এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক নই। আমাদের মহাসচিব (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) এরই মধ্যে বলেছেন যে, জনগণের সিদ্ধান্তের বিষয় এটা। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে, কারা নির্বাচন করবে কি করবে না। এটা হচ্ছে আমাদের বক্তব্য।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে বলছেন, গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর নিজস্ব অবস্থান থাকবে—এটাই স্বাভাবিক। তবে এক্ষেত্রে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে আরও সক্রিয় করতে হবে। কেননা, বিচার প্রক্রিয়ার দৃশ্যমান গতি দেখতে চায় দেশের মানুষ।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মো. সাহাবুল হক গতকাল কালবেলাকে বলেন, গত বছর ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়টি বারবার সামনে এসেছে। কয়েকটি রাজনৈতিক দলের আপত্তি ছাড়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দল চায় আওয়ামী লীগকে আইন করে নিষিদ্ধ হোক। কেননা, বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনের আওতায় কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া বেশ জটিল। জাতিসংঘের প্রতিবেদনেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কিছু বলা না হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে হাজার হাজার বিরোধী দলের নেতাকর্মীর হত্যা-গুম, নির্যাতনসহ আয়না ঘরের বিষয়টি স্পষ্ট করে উঠে এসেছে। তিনি বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের থাইল্যান্ডে যাওয়ার বিষয়টিও নতুন করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের যে দাবি উঠেছে, সেটি বেশ জোড়ালো এবং স্বতঃস্ফূর্ত। সরকার দুইভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে সামনে এগোতে পারে। এক- আদালতের মাধ্যমে গুম-খুনের বিচার করে দল হিসাবে আওয়ামী লীগের বিচারের বিষয় সামনে আসতে পারে, আবার নির্বাহী আদেশের মাধ্যমেও এটি করতে পারে। এটি সরকারের ওপর নির্ভর করছে, তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে কীভাবে সামনে এগোবে।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের জনগণের মধ্যে যে ঐক্য ছিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নানা ইস্যুতে তাতে ফাটল দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক মতবিরোধে বিভক্তি দেখা দিয়েছে দলগুলোর মধ্যে। ফলে অনেক ইস্যুর সমাধান হচ্ছে না। এ অবস্থা দেশের জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক নয়। সেজন্য দেশের স্বার্থে দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ সুগম করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *