অরুণাচল বাদ, জাংনান নামেই ভারত নয় চীনের প্রতিবেশী রাষ্ট্র হবে বাংলাদেশ!

সম্প্রতি ভারতের অরুণাচল প্রদেশকে আবারো নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি করেছে চীন।অরুণাচলের বেশ কিছু জায়গার নামও নিজেদের ইচ্ছে মতো পরির্তন করেছে তারা। এরপর ভারতের তরফ থেকে এর আপত্তি জানানো হয়েছিল।

চীনের নামকরণের প্রতিবাদ করায় দিল্লিকে বেইজিংয়ের পালটা জবাব, অরুণাচল চীনের অংশ এবং সেখানকার জায়গার নাম বদল তাদের সার্বভৌমত্বের অধিকারের মধ্যে পড়ে।

উল্লেখ্য, অরুণাচলের বিভিন্ন জায়গার নাম বদলানো চীনের এক কূটনৈতিক চাল। সম্প্রতি অরুণাচলের ২৭টি জায়গার ‘নতুন নাম’ প্রকাশ করেছিল চীন।

এ আবহে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে চীনের নামকরণ নিয়ে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘আমাদের নজরে এসেছে যে চীন ভারতের অরুণাচল প্রদেশের বিভিন্ন স্থানের নাম বদল করার চেষ্টা করছে।

আমরা এই প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করছি। নতুন নতুন নাম দিলেই এই সত্যটা বদলাবে না যে অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।’

এমনিতেই অরুণাচল প্রদেশকে ‘জাংনান’ বলে আখ্যা দেয় চীন। এর আগেও অরুণাচলের বিভিন্ন অংশকে নিজেদের বলে নামকরণের পথে হেঁটেছিল চীন। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে প্রকৃত

নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে অরুণাচল প্রদেশের ৩০টি জায়গার নাম বদল করেছিল চীন। সেই সময় চীন ১২টি পাহাড়, ৪টি নদী, ১টি ঝিল ও একটি পাহাড়ি পথ, ১১টি এলাকার নাম বদল করেছিল।

চীনের বক্তব্য, ১৯৮৭ সালে, ভারতের অবৈধ দখলে থাকা চীনা ভূখণ্ডে তথাকথিত ‘অরুণাচল প্রদেশ’ গঠন করে। চীন তখনই একটি বিবৃতি জারি করে দৃঢ়ভাবে এর বিরোধিতা করেছিল। সেই সময় থেকেই চীন জোর দিয়ে বলে এসেছে যে ভারতের পদক্ষেপ বেআইনি এবং তা যেন বাতিল করা হয়। এই ইস্যুতে চীনের অবস্থান এখন অপরিবর্তিত রয়েছে।

অরুণাচল নিয়ে বেইজিংয়ের দাবি, চীন-ভারত সীমান্ত কখনওই নির্দিষ্ট করা হয়নি। এটি পূর্ব সেক্টর, মধ্য সেক্টর, পশ্চিম সেক্টর এবং সিকিম সেক্টরে বিভক্ত। পূর্বাঞ্চলীয় সেক্টরের জাংনান (অরুণাচলের চীনা নাম) বরাবরই চীনের এলাকা। ভারতের অবৈধ দখলের আগ পর্যন্ত চীন জাংনানের উপর কার্যকরী প্রশাসনিক এক্তিয়ার প্রয়োগ করে আসছিল। এটি একটি মৌলিক সত্য যা অস্বীকার করা যায় না।

সূত্র: রয়টার্স।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *