
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের উৎস অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে তদন্ত কমিটি। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা সেটি তদন্তের পর বলা যাবে। এখনই কোনো কিছু বলার সুযোগ নেই। তদন্ত চলছে।
তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ড নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা এই বিষয়ে এখনই মন্তব্য করার মতো অবস্থা হয়নি। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছি। তদন্ত সাপেক্ষে বাকি কথা বলা যাবে।
এদিকে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে আগের সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করেছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। সদস্যসচিব করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে।
এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- পুলিশ মহাপরিদর্শক শেখ বাহারুল আলম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব হামিদুর রহমান খান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর মনজুর,
সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রাসেল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইয়াছির আরাফাত খান এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইয়াসির আরাফাত।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাত ১টা ৫২ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। কয়েক মিনিটের মাথায় আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ১৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
৬ ঘণ্টার বেশি সময় পর বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে আগুন নেভানোর সময় ট্রাকচাপায় আহত হওয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীর মৃ’ত্যু হয়েছে। নিহত ফায়ার ফাইটারের নাম মো. সোহানুজ্জামান নয়ন। তিনি তেজগাঁও ফায়ার টিমের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সদস্য। তার বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুরে।