মাগুরায় আলোচিত সেই শিশু ধ’র্ষ’ণ-হ’ত্যা মা’মলার বিচারকার্য নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল

মাগুরায় বহুল আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়।

এর মাধ্যমে আলোচিত এ ঘটনার বিচার শুরু হয়। আগামী রোববার (২৭ এপ্রিল) এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত।

বাদীপক্ষের প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহেদ হাসান টগর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাগুরার আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামিদের জেলা কারাগার থেকে বুধবার সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। আদালত আগামী ২৭ এপ্রিল এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।

মামলায় আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ নিয়োগকৃত আইনজীবী হাইকোর্টের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল হোক সমাজি বলেন, আগামী ২৭ এপ্রিল এ মামলার এক থেকে তিন নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করছি চার্জ গঠনের পরে ১০ থেকে ১৫ কার্যদিবসের ভেতরে মাগুরাবাসীসহ সারা দেশের মানুষ এ মামলার রায় দেখতে পারবেন।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন রাত ১০টার দিকে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিনের আদালতে মামলার চার্জশিট জমা দেন। চার্জশিটে মামলার ৪ আসামিকেই অভিযুক্ত করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি হিটু শেখকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া নিহত শিশুর বোনজামাই সজিব শেখ ও তার ভাই রাতুল শেখকে খুন ও জখমের ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগমকে তথ্য গোপনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।

গত ১ মার্চ শনিবার মাগুরা সদরের নান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যায় ভুক্তভোগী ওই শিশু। ৫ মার্চ বুধবার রাতে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ ওই শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা করে।

পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ওই শিশু মারা যায়। এ ঘটনায় ৮ মার্চ নিহত আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে ৪ জনের নামে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। ঘটনাটি নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভ ও আলোচনার সৃষ্টি হয় ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *