পাকিস্তানে ভারতের ক্ষে’পণা’স্ত্র হামলা, এবার যে বার্তা দিল চীন

পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরসহ দেশটির বেশ কয়েকটি স্থানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় গভীর হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন। এই দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী রাষ্ট্রকেই শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। খবর বিবিসির।

চীন এই দুই দেশেরই প্রতিবেশী এবং পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র। পাকিস্তানে ভারতের সামরিক অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় হতাশা প্রকাশ করে চীন জানিয়েছে, চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ভারত ও পাকিস্তান এমন প্রতিবেশী যাদের আলাদা করা সম্ভব নয়—এরা চীনেরও প্রতিবেশী। তিনি আরও বলেন, চীনের অবস্থান সকল প্রকার সন্ত্রাসবাদের বিপরীতে।

চীন ভারত-পাকিস্তান দু’পক্ষকেই শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে গুরুত্ব দিয়ে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। চীনের ওই মুখপাত্র বলেন, তারা এমন কোনো পদক্ষেপ যেন না নেয়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।

মূলত ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়েছে ভারত। ওই হামলার জন্য ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ শুরু থেকেই তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

পহেলগামে হামলার দুই সপ্তাহ পর পাকিস্তানের নয় স্থানে হামলা চালালো নয়াদিল্লি। এদিকে এই হামলার ঘটনায় জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি উভয় দেশের সর্বোচ্চ সামরিক সংযমের আহ্বান জানিয়েছেন।

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত বিশ্বের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না বলেও সতর্ক করেন তিনি। গুতেরেস জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের এই সামরিক অভিযান নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।

এছাড়া ভারতের এই হামলাকে ‘লজ্জাজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই দেশের মধ্যে চলমান সংকট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক।

এইমাত্র এ বিষয়ে জানলাম। আমার মনে হয় অতীতের কিছু ঘটনার ওপর ভিত্তি করে মানুষ জানত যে কিছু একটা ঘটতে চলেছে। তারা অনেক দিন ধরে লড়াই করে আসছে। তারা বহু দশক ধরে লড়াই করে আসছে। আমি আশা করি এটা খুব দ্রুত শেষ হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, আমরা ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা আশা করছি যে, এটা দ্রুত শেষ হবে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ভারত ও পাকিস্তান উভয় নেতৃত্বকে সম্পৃক্ত করা অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *