এবার তুরস্কের বিরুদ্ধে আরও বড় পদক্ষেপ নিল ভারত

ড্রোন যুদ্ধের পর ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরোতিতে সম্মত হলেও দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা এখনো প্রশমিত হয়নি। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, তবু ভারত এতে সন্তুষ্ট নয়।

অন্যদিকে পাকিস্তান এই সাম্প্রতিক সংঘাতকে ১৯৭১ সালের ‘পরাজয়ের প্রতিশোধ’ বলে উল্লেখ করছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এই বিরোধে প্রকাশ্যে পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়ায় তুরস্কের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে অবনতির

দিকে গেছে। এরই প্রেক্ষিতে তুর্কি কোম্পানি সেলেবি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ক্লিয়ারেন্স-এর নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছে ভারত। কোম্পানিটি মুম্বাই ও ব্যাঙ্গালুরুসহ মোট ৯টি বিমানবন্দরে লাগেজ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল। ১৫ মে ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এই আদেশ জারি করে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, তুরস্ক শুধু পাকিস্তানকে কূটনৈতিক সমর্থনই দেয়নি, বরং সামরিকভাবে সাহায্যও করেছে। পাকিস্তানকে তারা দিয়েছে আসিস গার্ড, সোনগার্ড এবং বাইরাকতার টিবি-২ ড্রোন। ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘাত শুরুর আগেই করাচি বন্দরে ভিড় করেছিল তুরস্কের একটি যুদ্ধজাহাজ, এমনকি টার্কিশ বিমান বাহিনীর সি-১৩০ সামরিক পরিবহন বিমানও করাচিতে অবতরণ করেছিল।

এই ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় ভারতের অভ্যন্তরেও ক্ষোভ দানা বাঁধছে। তুরস্ক ও আজারবাইজান ভ্রমণ বাতিল করছে অনেক ভারতীয় নাগরিক। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় তুরস্কের শিক্ষাবিষয়ক একটি ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। একই পথে হেঁটেছে ভারতের একটি মাদ্রাসাও।

এই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভারত-তুরস্ক সম্পর্কে নতুন করে ‘শীতল যুদ্ধ’ শুরু হয়েছে। ইসলামাবাদ-আঙ্কারা জোটকে ঘিরে দিল্লি এখন মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক মানচিত্রে নতুন করে তার কৌশল সাজাতে বাধ্য হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *