বাবাকে হ’ত্যা: খোলাসা হচ্ছে প্রমাণ, নতুন যে তথ্য দিল পুলিশ

মেয়ের ছুরিকাঘাতে বাবার মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধর্ষণের অভিযোগে বাবা আব্দুস সাত্তারকে হত্যা করার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যখন প্রশংসায় ভাসছিলেন মেয়ে জান্নাতুল জাহান শিফা।

ঠিক তখনই পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা। সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবীর বলেন, প্রাথমিক তদন্তে শিফাকে মাদকাসক্ত মনে হয়েছে। যদিও এখনো মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়নি।

তিনি আরো বলেন, শিফা ও তার বাবার বাসায় আরো দুটি মেয়ের সাবলেট থাকতো। শুধু শিফাই নয় ওই দুই মেয়ের বিরুদ্ধেও মাদকাসক্তের অভিযোগ আছে।

শিফা প্রচন্ড স্বাধীনচেতা ছিল। সে নিজের মত চলতে চাইতো। বাবার অনুশাসন মানতে চাইতো না। এছাড়াও শিফা ও অপর দুটি মেয়ের বিরুদ্ধে অনৈতিক কার্যকলাপ এবং সমকামিতারও অভিযোগ রয়েছে।

আর তাদের সেই অনৈতিক কাজের বাধা দিতে গেলেই বাবাকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করছে পুলিশ। পুলিশ সুপার আরো বলেন, শিফার বাবার বিরুদ্ধে যে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে সে বিষয়টিও তদন্তের মধ্যে আছে এবং এসব অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য শিফাকে আদালতের মাধ্যমে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গত ৭ মে রাতে শিফা তার বাবাকে ভাতের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায়। ঘুমিয়ে পড়ার পর ভোর চারটার দিকে শিফা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এদিকে বাবাকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপতার মেয়ে শিফা আদালতের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। ৯ মে আদালতের সাভার থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপপরিদর্শক বিশ্বকুমার দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত 8 মে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরোজা সুলতানা সুইটির আদালত আসামী শিফার স্বীকারউক্তিমূলক জবানবন্দী রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। জানা যায় শিফার মা নিহত ব্যক্তি আব্দুস সাত্তারের তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন। পাঁচ বছর বয়সে শিফার মা মারা যান। পরে ২০১৯ সাল থেকে বাবা তাকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সবশেষ ২০২৩ সালে শিফা তার বাবার বিরুদ্ধে নাটোরের আদালতে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

তথ্যসূত্রঃhttps://youtu.be/jz18L0ULCA8?si=zJP_lO3BlhNMcqjc

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *