
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সম্প্রতি সংঘর্ষ দুই দেশের জনগণের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি ও বিমান হামলার মধ্যে পরিস্থিতি এতটাই অবনতির দিকে চলে যায় যে,
অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে গত শনিবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। বিশ্লেষকরা যুদ্ধবিরতির প্রধান কারণ হিসেবে পাকিস্তানের শক্তিশালী পাল্টা হামলাকে চিহ্নিত করছেন। পাকিস্তানের টানা ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট হামলায় ভারত পিছু হটে এবং যুদ্ধবিরোতিতে যেতে বাধ্য হয়।
সিএনএন-এর বিশিষ্ট সাংবাদিক নিক রবার্টসন জিও টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ভারত যখন পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাটিতে হামলা চালায়, পাকিস্তান এতটাই তীব্র পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখায় যে,
ভারত কৌশলগতভাবে পিছু হটে যায়। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মতে, ভারতীয় হামলার জবাবে পাকিস্তান “অপারেশন বুনিয়ান” এবং “মারসুস” চালু করে।
এই অভিযানে ভারতের অভ্যন্তরে ২৬টি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু হয়, যার মধ্যে ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের গোদাম, উদমপুর, পাঠানকোট ও আদমপুর বিমানঘাটি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
পাকিস্তান দাবি করেছে যে, আদমপুর বিমানঘাটিতে রুশ নির্মিত এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। পাকিস্তান তাদের তৈরি ফাতেহ ওয়ান ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে উধমপুরে আঘাত হেনেছিল,
যেখানে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি সামরিক অবকাঠামোতে আঘাত করে। এছাড়া, পাকিস্তান দাবি করেছে যে উরির সেনাসদর দপ্তর এবং রাজৌড়ির একটি সামরিক গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও ধ্বংস করা হয়েছে।
ডন নিউজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান সাইবার হামলা চালিয়ে ভারতের বিদ্যুৎ স্থাপনাগুলোর উপর আক্রমণ করেছে, যার ফলে ভারতীয় প্রায় ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র অচল হয়ে পড়ে।
যদিও ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে এসব দাবি এখনো স্বীকার করেনি, তবে আন্তর্জাতিক মহলে এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যস্থতায় এগিয়ে আসেন,
এবং ভারতের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও তুরস্ক শান্তি প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। সিএনএন-এর তথ্যমতে, পাকিস্তান প্রথমে যুদ্ধবিরোতির প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু ভারতের আগ্রাসনের পর তারা সামরিক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়। এরপর ভারতের পক্ষ থেকে দ্রুত শান্তি প্রস্তাব এবং মধ্যস্থতার আহ্বান জানানো হয়।
যদিও যুদ্ধবিরতির ফলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে, তবে কাশ্মীর ইস্যু এবং পানি অধিকার সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো এখনও মীমাংসিত হয়নি। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি তাৎক্ষণিক স্বস্তি দিলেও,
এই দ্বন্দ্বের দীর্ঘমেয়াদী সমাধান প্রয়োজন। একদিকে, ভারত তাদের কৌশলগত জয়ের দাবি করছে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, পাকিস্তানের কঠোর জবাব ভারসাম্য ফিরিয়ে এনেছে।
তথ্যসূত্রঃ https://youtu.be/e0apxoSgIAU?si=gVit9u_2zxgB2-pr